***দশটি অপ্রয়োজনীয় বিষয়***
Tuesday, April 27, 2010দশটি অপ্রয়োজনীয় বিষয়
ইমাম ইবনুল কায়্যিম
১. এমন ইলম বা জ্ঞান যা কর্মে সম্পাদন(আমল) করা হয়নি।
২. এমন কাজ যা না আন্তরিকতার সাথে করা হয়েছে আর না অন্যদের ভাল কাজের অনুসরণ করে করা হয়েছে।
৩. টাকা সঞ্চয় করা হয়েছে কিন্তু যা থেকে মালিক বেঁচে থাকা অবস্থায় না উপভোগ করতে পারে আর না এই টাকা পরকালে তার জন্যে কোন পুরস্কার বয়ে আনে।
৪. এমন হৃদয় যেখানে আল্লাহর জন্য ভালভাসা ও আন্তরিকতা অনুপস্থিত এবং কিভাবে আরো আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়া যায় তার অনুসন্ধান করে না।
৫. এমন শরীর যা আল্লাহর আনুগত্য করে না এবং আল্লাহ যা করতে বলেছেন সে অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করে না।
৬. আল্লাহকে ভালোবাসা এবং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য চেষ্টা সাধনা করা হয় কিন্তু আল্লাহ যেভাবে করতে আদেশ করেছেন সেইভাবে করা হয় না।
৭. এমন সময় ব্যয় করা হয়েছে যেখানে না পাপকর্মের জন্য তওবা করা হয়েছে আর না ভাল কাজের সুযোগ অনুসন্ধান করা হয়েছে।
৮. এমন মন যা অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে।
৯. এমন ব্যক্তিদের আনুগত্য করা যারা না তাকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয় আর না তার জীবনে কোন কল্যাণ বয়ে আনে।
১০. এমন কাউকে ভয় করা এবং তার নিকট কোন কিছু পাওয়ার আশা প্রকাশ করা যার মালিকানা ও কর্তৃত্ত্ব আল্লাহর হাতে আর সেই ব্যক্তি না কল্যাণ বয়ে আনতে পারে, না নিজের কোন ক্ষতি করতে পারে, না মৃত্যু দিতে পারে, না জীবন দিতে পারে আর না পরকালে সে নিজেকে পুনরুত্থান করতে পারে।
এই বিষয়গুলোর মধ্যে প্রধানতম হচ্ছে হৃদয়ের অপচয় এবং সময়ের অপচয়। হৃদয়ের অপচয় হয়ে থাকে পরকালের চেয়ে এই পার্থিব জীবনকে বেশী প্রাধান্য দেওয়ার মাধ্যমে এবং সময়ের অপচয় হয়ে থাকে অবিরাম ইচ্ছা পোষণ করার মাধ্যমে (অর্থাৎ একটি ইচ্ছা পূরণ হলে আবার আরেকটি আবার সেটি পূরণ হলে আবার অন্যটি আর এভাবে চলতেই থাকে)। নিজের প্রবৃত্তি ইচ্ছার অনুসরণ এবং অবিরাম ইচ্ছা পোষণ ধ্বংস বয়ে আনে আর সকল প্রকার কল্যাণ নিহিত রয়েছে সঠিক পথ অনুসরণ করার মাধ্যমে এবং নিজেকে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার মাধ্যমে(অর্থাৎ পরকালে আল্লাহর সামনে আল্লাহকে সন্তুষ্ট রেখে তার সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ)।
বিষয়টি কতইনা অদ্ভুত যে, আল্লাহর একজন বান্দাহ তার পার্থিব কোন সমস্যার কারণে আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা করে অথচ অজ্ঞতা, উপেক্ষা, নিজের প্রবৃত্তির পূর্ণ অনুসরণ এবং বিদআতে লিপ্ত হয়ে তার অন্তর মরে যাওয়ার আগে হৃদয়ের আরোগ্যের জন্য আল্লাহর নিকট কখনই সাহায্য কামনা করে না। প্রকৃতপক্ষে, যখন কারো হৃদয় মরে যায় তখন সে আর কখনো তার পাপ কর্মের অনুভূতি বা প্রভাব অনুভব করে না(অর্থাৎ পাপকর্ম করলেও তার কাছে তা কিছুই মনে হয় না, কোন অনুশোচনাও জাগে না)।
ইমাম ইবনুল কায়্যিম
১. এমন ইলম বা জ্ঞান যা কর্মে সম্পাদন(আমল) করা হয়নি।
২. এমন কাজ যা না আন্তরিকতার সাথে করা হয়েছে আর না অন্যদের ভাল কাজের অনুসরণ করে করা হয়েছে।
৩. টাকা সঞ্চয় করা হয়েছে কিন্তু যা থেকে মালিক বেঁচে থাকা অবস্থায় না উপভোগ করতে পারে আর না এই টাকা পরকালে তার জন্যে কোন পুরস্কার বয়ে আনে।
৪. এমন হৃদয় যেখানে আল্লাহর জন্য ভালভাসা ও আন্তরিকতা অনুপস্থিত এবং কিভাবে আরো আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়া যায় তার অনুসন্ধান করে না।
৫. এমন শরীর যা আল্লাহর আনুগত্য করে না এবং আল্লাহ যা করতে বলেছেন সে অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করে না।
৬. আল্লাহকে ভালোবাসা এবং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য চেষ্টা সাধনা করা হয় কিন্তু আল্লাহ যেভাবে করতে আদেশ করেছেন সেইভাবে করা হয় না।
৭. এমন সময় ব্যয় করা হয়েছে যেখানে না পাপকর্মের জন্য তওবা করা হয়েছে আর না ভাল কাজের সুযোগ অনুসন্ধান করা হয়েছে।
৮. এমন মন যা অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে।
৯. এমন ব্যক্তিদের আনুগত্য করা যারা না তাকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয় আর না তার জীবনে কোন কল্যাণ বয়ে আনে।
১০. এমন কাউকে ভয় করা এবং তার নিকট কোন কিছু পাওয়ার আশা প্রকাশ করা যার মালিকানা ও কর্তৃত্ত্ব আল্লাহর হাতে আর সেই ব্যক্তি না কল্যাণ বয়ে আনতে পারে, না নিজের কোন ক্ষতি করতে পারে, না মৃত্যু দিতে পারে, না জীবন দিতে পারে আর না পরকালে সে নিজেকে পুনরুত্থান করতে পারে।
এই বিষয়গুলোর মধ্যে প্রধানতম হচ্ছে হৃদয়ের অপচয় এবং সময়ের অপচয়। হৃদয়ের অপচয় হয়ে থাকে পরকালের চেয়ে এই পার্থিব জীবনকে বেশী প্রাধান্য দেওয়ার মাধ্যমে এবং সময়ের অপচয় হয়ে থাকে অবিরাম ইচ্ছা পোষণ করার মাধ্যমে (অর্থাৎ একটি ইচ্ছা পূরণ হলে আবার আরেকটি আবার সেটি পূরণ হলে আবার অন্যটি আর এভাবে চলতেই থাকে)। নিজের প্রবৃত্তি ইচ্ছার অনুসরণ এবং অবিরাম ইচ্ছা পোষণ ধ্বংস বয়ে আনে আর সকল প্রকার কল্যাণ নিহিত রয়েছে সঠিক পথ অনুসরণ করার মাধ্যমে এবং নিজেকে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার মাধ্যমে(অর্থাৎ পরকালে আল্লাহর সামনে আল্লাহকে সন্তুষ্ট রেখে তার সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ)।
বিষয়টি কতইনা অদ্ভুত যে, আল্লাহর একজন বান্দাহ তার পার্থিব কোন সমস্যার কারণে আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা করে অথচ অজ্ঞতা, উপেক্ষা, নিজের প্রবৃত্তির পূর্ণ অনুসরণ এবং বিদআতে লিপ্ত হয়ে তার অন্তর মরে যাওয়ার আগে হৃদয়ের আরোগ্যের জন্য আল্লাহর নিকট কখনই সাহায্য কামনা করে না। প্রকৃতপক্ষে, যখন কারো হৃদয় মরে যায় তখন সে আর কখনো তার পাপ কর্মের অনুভূতি বা প্রভাব অনুভব করে না(অর্থাৎ পাপকর্ম করলেও তার কাছে তা কিছুই মনে হয় না, কোন অনুশোচনাও জাগে না)।
0 comments